স্বদেশ ডেস্ক: ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন্স’র(এনআরসি) চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে শনিবার। আর এ জন্য অঞ্চলটির মানুষদের মধ্যে বিরাজ করছে অনিশ্চয়তা। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কিছু এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধার।
এনআরসির চূড়ান্ত তালিকায় ৪০ লাখের বেশি মানুষ বাদ পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগে তালিকার যে খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে তাতেও দেখা গেছে এই চিত্র। তালিকা থেকে বাদ পড়া মানুষরা চিহ্নিত হবে অনুপ্রবেশকারী বিদেশী হিসেবে।
গত চার বছর আগে আসাম সরকার এই নাগরিক তালিকার কাজ শুরু করে।
এই নিয়ে যাতে কোন বিশৃঙ্খলা না হয় সে জন্য অঞ্চলটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়া লোকরা যাতে কোন বিশঙ্খলা না করতে পারে সে জন্য এই ব্যবস্থা। পাশাপাশি কোন ধরনের গুজবে কান না দেয়ার জন্য জনগনকে সতর্ক করছে পুলিশ।
এনআরসি তালিকায় ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের আগ থেকে বসবাস করে আসছে এমন লোকদের রাখা হবে। তবে ইতোপূর্বে প্রকাশিত খসড়া তালিকায় দেখা গেছে প্রচুর গড়মিল। কয়েক পুরুষ ধরে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসা অনেকের নামও বাদ পড়েছে তালিকা থেকে। তাই তারা নাগরিকত্ব হারানো নিয়ে শঙ্কায় আছে।
এমন অনেকেই আছেন যার ৪০-৫০ বছর ধরে স্থায়ীভাবে বসবাস করার পরও ভারতের নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়বেন। আর তাই ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। দুলাল দাস নামে এক বৃদ্ধ জানান, তিনি ১৯৬৮ সালে আসামে এসেছেন মা-বাবার সাথে। সেই থেকে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন; কিন্তু তারপরও রাষ্ট্রহীন হিসেবে তালিকাভূক্ত হওয়ার শঙ্কায় আছেন। দুলাল দাস বলেন, ৫০ বছর ধরে বসবাস করার পরও শঙ্কায় আছি। হয়তো আমাদের নাম থাকবে না এনআরসির চূড়ান্ত তালিকায়।
তালিকা থেকে বাদ পড়াদের বড় অংশই মুসলিম। স্থানীয় ব্যবসায়ী সিরাজুল আলী বলেন, আমাদের গ্রামের সবাই আতঙ্কে আছে। এই গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেকের বসবাস। আগের খসড়া তালিকায় আমাদের বেশির ভাগের নামেই বাদ পড়েছে। সবাই তাকিয়ে আছে শনিবারের দিকে। আমাদের ভবিষ্যত নির্ধারিত হবে এই তালিকায়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও নিউজি এইটিন